, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ , ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ


সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘু কথার কবর রচনা হোক: জামায়াত আমির

  • আপলোড সময় : ২০-০৮-২০২৪ ০১:১৩:৩৪ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২০-০৮-২০২৪ ০১:১৩:৩৪ অপরাহ্ন
সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘু কথার কবর রচনা হোক: জামায়াত আমির
এবার জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. মো. শফিকুর রহমান বলেছেন, এ দেশের সব নাগরিক সমান অধিকার ভোগ করবে এবং সব ধর্মের মানুষ আওয়াজ তুলে বলবে আমরা এখানে সংখ্যাগুরুও নই, কেউ সংখ্যালঘুও নই, সবাই সমান। আমি চাই এখানে (বাংলাদেশে) সংখ্যাগুরু এবং সংখ্যালঘু কথাটির কবর রচনা হোক।

গতকাল সোমবার (১৯ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীতে মন্দির পরিদর্শন শেষে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

এ সময় জামায়াত আমির বলেন, আমাদের প্রথম পরিচয় আমরা মানুষ। আমাদের দ্বিতীয় পরিচয়, এ দেশে আমাদের যাদের জন্ম হয়েছে, আমরা সবাই বাংলাদেশি। একজন বাংলাদেশি নাগরিককে আমার দেশের সংবিধান যে অধিকার দিয়েছে, সকল ধর্মের নাগরিক ইনডিভিজুয়াল (স্বতন্ত্র ব্যক্তি) নাগরিক সমানভাবে তা ভোগ করবে। আমরা তার কমবেশি দেখতে চাই না।

ডা. শফিকুর রহমান আরও বলেন, মেধা-যোগ্যতার ভিত্তিতে আগামীর বাংলাদেশের দায়িত্ব পালন করবে এ দেশের তরুণসমাজ। এখানেও আমরা কোনো ব্যবধান বরদাশত করব না।

তিনি বলেন, আগে আপনি সোনার মানুষ হোন, তারপর আমার সোনার দেশ হয়ে যাবে। আমি সব সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে অনুরোধ করব যে আসুন, আমরা পরস্পরকে ভাই এবং বন্ধু হিসেবে গ্রহণ করি। তাহলে হিংসা এবং হানাহানি থাকবে না। আর কয়দিন পরপর এখানে এসে এসে পাহারা দিতে হবে না। আমার বিবেক আমাকে পাহারা দেবে। বলবে! তুমি মানব সন্তান; তোমার ধর্মের প্রতি তুমি যেমন শ্রদ্ধাশীল, তেমনি অন্যের ধর্মের প্রতিও তোমার সহনশীল হতে হবে।

জামায়াত আমির আরও বলেন, কোনো ধর্ম কাউকে দুর্বৃত্ত হতে শেখায় না। হিংসা-প্রতিহিংসা শেখায় না, আমি তা বিশ্বাস করি না। মন্দির কমিটির সভাপতি বাবু তপনেন্দ্র নারায়ন হোড়ের সভাপতিত্বে ও বাবু হরিপদ দাস দোলনের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী উত্তরের আমীর মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহসভাপতি লস্কর মুহাম্মদ তাসলিম, বাবু মনোজ সরকার, বাবু শিব শংকর সাহা, নিথীশ কুমার সাহা, ডাক্তার বিপ্লব প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। 
সেনাকুঞ্জে কুশল বিনিময় করলেন ‍ড. মুহাম্মদ ইউনূস-খালেদা জিয়া

সেনাকুঞ্জে কুশল বিনিময় করলেন ‍ড. মুহাম্মদ ইউনূস-খালেদা জিয়া